গাজরের উপকারিতা ও স্বাস্থ্য গুণাগুণ জানলে আপনি আশ্চর্য হয়ে যাবেন।

গাজরের উপকারিতা ও স্বাস্থ্য গুণাগুণ জানলে আপনি আশ্চর্য হয়ে যাবেন।

গাজর একটি মূলজ সবজি। এর বৈজ্ঞানিক নাম ডকাশ ক্যারোটা। গাজরকে বলা হয় সুপার ফুড। গাজর যেমন পুষ্টিকর, তেমনি শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। গাজরের ভিটামিন ও মিনারেল দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশজাতীয় উপাদান। শরীরের টকসিন দূর করতে গাজরের জুরি নেই। শরীরে পুষ্টি ও বিকাশে গাজর খুবই প্রয়োজন।

গাজর সাধারণত কমলা রঙের হয় যদিও বেগুনি, কালো, লাল, সাদা এবং হলুদ জাতের জাত গাজর রয়েছে। গাজর অত্যন্ত পুষ্টিকর, সুস্বাদু এবং খাদ্যআঁশসমৃদ্ধ শীতকালীন সবজি, যা প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। তরকারি ও সালাদ হিসেবে গাজর খাওয়া যায়। এ ছাড়া গাজর দিয়ে অনেক সুস্বাদু খাবার তৈরি করা যায়। তবে রান্না করে খাওয়ার চেয়ে গাজর কাঁচা খাওয়া বেশি ভালো। কারণ এতে পুষ্টির অপচয় কম হয়। প্রতি ১০০ গ্রাম গাজরে রয়েছে : ক্যারোটিন -৫২০ মাইক্রোগ্রাম ।

শর্করা -১২.৭ গ্রাম ।আমিষ -১.২ গ্রাম ।

জলীয় অংশ - ৮৫ গ্রাম । ক্যালসিয়াম - ২৭ মিলি গ্রাম । আয়রন - ২.২ মিলি গ্রাম । ভিটামিন বি১ - ০.০৪ মিলি গ্রাম । ভিটামিন বি ২ - ০.০৫ মিলি গ্রাম । চর্বি - ০.২ গ্রাম । ভিটামিন সি - ১৫ মিলি গ্রাম । আঁশ - ১.২ গ্রাম । অন্যান্য খনিজ - ০.৯ গ্রাম । খাদ্য শক্তি - ৫৭ ক্যালরি । নিম্নে গাজরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকার সম্পর্কে আলোচনা করা হ’ল-

১. দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে : গাজরে আছে বিটা ক্যারোটিন যা আমাদের লিভারে গিয়ে ভিটামিন এ তে বদলে যায়। পরে সেটি চোখের রেটিনায় গিয়ে চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে, সেই সাথে রাতের বেলায় অন্ধকারেও চোখে ভাল দেখার জন্য দরকারি এমন এক ধরনের বেগুনি পিগমেন্টের সংখ্যা বাড়িয়ে দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে সাহায্য করে। ২. ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: গাজর খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কম থাকে। গাজরে আছে ফ্যালকেরিনল এবং ফ্যালকেরিনডায়ল যা আমাদের শরীরে অ্যান্টিক্যান্সার উপাদানগুলোকে পূর্ণ করে। তাই গাজর খেলে ব্রেস্ট, কোলন, ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। গাজরে বিদ্যমান ফ্যালক্যারিনল ও ফ্যালক্যারিডিওল ফুসফুস ও অন্ত্রের ক্যান্সারসহ অন্যান্য ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। ৩। ত্বক সুন্দর করে : গাজর ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করবে। এর ভিটামিন এ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করে। সেই সাথে ভিটামিন এ ত্বকের অযাচিত ভাঁজ পড়া, কালো দাগ, ব্রন, ত্বকের রঙের অসামঞ্জস্যতা ইত্যাদি দূর করে ত্বক সুন্দর হয়ে উঠতে সাহায্য করবে। গাজর বাইরে থেকেও ত্বকের অনেক উপকার করে। ফেশিয়ালের উপাদান হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। ৪। অ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবে কাজ করে: গাজর ভাল অ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবেও কাজ করে। এটি শরীরে কোনো ক্ষত হলে তা ইনফেকশন হওয়া থেকে রক্ষা করে। কোথাও কেটে বা পুড়ে গেলে সেখানে লাগিয়ে নিন কুচি করা গাজর বা সিদ্ধ করা গাজরের পেস্ট। আপনার ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।

৫। হৃৎপিণ্ড ভালো রাখে: গাজরের ক্যারোটিনয়েডগুলো হৃৎপিণ্ডের নানা অসুখের ওষুধ হিসেবে কাজ করে। হৃৎপিণ্ডের নানা অসুখে এটি খুব ভাল কাজ করে। গাজর ডায়েটরি ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ থাকে। এই উপাদানগুলো ধমনির ওপর কোন কিছুর আস্তর জমতে না দিয়ে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। ৬. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ঠিক রাখে: শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নামক একটি উপাদানের কারণে বয়সের ছাপ চলে আসে। গাজরের মধ্যে যে ক্যারটিনয়েড থাকে তা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে। আর এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে বয়সের ছাপ আসার গতিকে ধীর করে। এ ছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে বিষমুক্ত করে। এতে যে বিটা ক্যারোটিন আছে তা আমাদের শরীরের ভেতরে গিয়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে আমাদের শরীরের ক্ষয়প্রাপ্ত কোষগুলোকে ঠিকঠাক করে। ৭। রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি :

প্রতিদিন এক গ্লাস গাজরের জুস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আশ্চর্যজনকভাবে বৃদ্ধি করে। শরীরে ক্ষতিকর জীবাণু, ভাইরাস এবং বিভিন্ন ধরনের প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে। গাজরের জুসে ভিটামিন ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খনিজ, পটাশিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি থাকে ।

৮। . ত্বকের শুষ্কতা দূর করে : অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পটাশিয়ামের মতো খনিজের উপস্থিতি আছে গাজরে। এই উপাদানগুলো ত্বককে রাখে সুস্থ এবং সতেজ। এসব পুষ্টি উপাদান ত্বক শুকিয়ে যাওয়া, স্কিন টোনকে উন্নত করা এবং ত্বকে দাগ পড়া থেকে রক্ষা করে। ৯। কোলেস্টরেল এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ : কোলেস্টরেল এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও গাজরের জুস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গাজরের মধ্যে থাকা পটাশিয়ামই এর মূল কারণ। গাজরে ক্যালরি এবং সুগারের উপাদান খুবই কম। এ ছাড়া ডায়াবেটিস প্রতিরোধে যে সব ভিটামিন এবং খনিজের প্রয়োজন তাও বিদ্যমান। চর্বি কমাতে সাহায্য করে বলে ওজনও কমে। ১০। লিভার পরিষ্কার করে : গাজরে উপস্থিত ভিটামিন এ লিভারে গিয়ে তাকে শরীর থেকে নানা ধরনের টক্সিন জাতীয় খারাপ উপাদান পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এছাড়াও গাজরের এই উপাদান লিভার থেকে অতিরিক্ত চর্বি সরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে গাজরের ফাইবার কোলন পরিষ্কার রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যর হাত থেকে আপনাকে রক্ষা করে। ১১। দাঁত শক্ত ও পরিষ্কার করে: সুন্দর ও সুস্থ্য সবল দাঁতের জন্য গাজর খুবই উপকারী । গাজর আপনার দাঁত ও মুখের ভেতর পরিষ্কার রাখে। গাজরের মিনারেলগুলো দাঁত মজবুত রাখতে সাহায্য করে। ১২। স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়: হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সপ্তাহে ছয়টির বেশি গাজর খান বা খাচ্ছেন তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি যারা এর থেকে কম পরিমানে গাজর খাচ্ছেন তাদের তুলনায় অনেক কম হয়। তাই স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে হলে এখনি নিজের খাবারের তালিকায় যুক্ত করুন গাজর।

১৩। হজম শক্তি বৃদ্ধি করে: গাজর খেলে খাবার হজম হয় ভালোভাবে। কারণ, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশজাতীয় উপাদান। এই উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ১৪। রক্ত বৃদ্ধি করে: গাজর রক্তের প্রধান উপাদান আরবিসিকে দীর্ঘজীবী করে। এতে রক্তে বেড়ে যায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা। রক্ত বাড়াতে হলে তাই প্রতিদিন অন্তত একটি কচি গাজর খান। যেকোনো বড় অস্ত্রোপচারের পর রক্তের ঘাটতি হলে। গাজর এই ঘাটতি পূরণ করে। ১৫। মেধাশক্তি বৃদ্ধি করে : মানুষের মেধাশক্তি বাড়ানোর জন্য কাজ করে গাজর। মস্তিষ্কের স্নায়ুগুলোকে করে দ্বিগুণ কর্মক্ষম। ১৬। তারুণ্য ধরে রাখে : ন্যাচারাল অ্যান্টি অক্সিডেন্টের পরিমাণ গাজরে অনেক বেশি, যা তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। ১৭। রক্ত পরিষ্কার করে: গাজর থেকে প্রাপ্ত ভিটামিন-’এ’ রক্তের ক্ষতিকর টঙ্কি উপাদানগুলো দেহ থেকে বের করে দিয়ে রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। ১৮। শিশুদের জন্ডিসের ঝুঁকি কমায়: গর্ভবতী মায়েরা গাজরের রস খেলে শিশুর জন্ডিস হওয়ার ঝুঁকি কমে। ১৯। উচ্চ রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে: গাজরের সঙ্গে কয়েক কোয়া রসুন মিশিয়ে খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ২০। ক্ষত নিরাময় করে: গাজর শরীরের যেকোনো ক্ষত নিরাময় করে। গাজরের পাতা মধুর সঙ্গে মিলিয়ে খেলে দ্রুত ক্ষত নিরাময় হয়। পুষ্টিতথ্য ১০০ গ্রাম (এক কাপ) পরিমাণ গাজর থেকে ৮২৮৫ মাইক্রোগ্রাম বিটাক্যারোটিন এবং ১৬৭০৬ ওট ভিটামিন ‘এ’ পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৪১ কিলোক্যালোরি খাদ্যশক্তি, ২.৮ গ্রাম খাদ্যআঁশ, ভিটামিন ‘বি-১’ ০.০৪ মিলিগ্রাম, ভিটামিন ‘বি-২’ ০.০৫ মিলিগ্রাম; ২.২ মিলিগ্রাম লৌহ, ৫.৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’, ১৩.২ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ‘কে’, ১৯ মাইক্রোগ্রাম ফলেট, ৩২০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ৩৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১২ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ১২ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়।

আরো কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা : ১। গাজর শ্বাসনালির প্রদাহ নিরাময় করে। ২। গাজরের স্যুপ ডায়রিয়া রোগে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ৩। গাজর কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে। ৪। গাজর হাড়, চুল, ত্বক ও নখের সৌন্দর্য রক্ষা করে। ৫। এটি ত্বকের ভাঁজ, খসখসে ভাব ও ব্রণ দূর করে।৬। গাজরের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ত্বকের প্রলেপ হিসেবে ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল হয়।কলিকাতা হারবাল হাকিম ডা:মো: মাহাবুবুর রহমান!(রেজিষ্টার্ড হারবাল স্পেশালিস্ট যৌন. ডায়াবেটিস, চর্ম,সাস্থ্যহীনতা.মেদভুড়ি. হাঁপানি,বাত বেথা.হেপাটাইটিস (বি -ভাইরাস).অশ্ব গেজ.ও মহিলা রোগে (17 বৎসরের অভিঙ্গতা) বি:দ্র: আপনার কষ্টার্জিত অর্থ বিনষ্ট। না হওয়ার আগেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন। ভালভাবে ডা: চেম্বার,ডা:এর শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাই বাচাই করে চিকিৎসা নিবেন। ফেইসবুকে বা অসত্য প্রচারনা থেকে এড়িয়ে চলুন।,কলিকাতা হারবাল মোঃ পুর বাস স্টান্ড আল্লাহ করিম মসজিদ মার্কেট দ্বিতীয় তলা 01971198888 /ইমু নাম্বার 01741331199 http://www.kolikataherbalcare.com/





সরাসরি সম্প্রচার

সাম্প্রতিক আপডেটস

Back To Top