কস্তুরী কি ? এবং কোথায় পাওয়া যায় ? এই বিষয়ে আজকে আমরা জানতে পারবো, হরিণের নাভী কুস্তুরীর কার্যকারিতা কি?

এই মায়াবী সৌন্দর্য্যময় হরিণের যখন বয়স দশ বছর হয়। আর এই দশ বছর বয়সে হরিণের নাভির গ্রন্থি পরিপক্ব হয়। আর এই সময় হরিণটিকে হত্যা করে নাভি থেকে তুলে নেওয়া হয় পুরো গ্রন্থিটি। তারপর ভালো করে রোদে শুকানো হয়। আর তখন এই গ্রন্থটির নাম হয় কস্তুরী। আর এই একটা পূর্ণাঙ্গ কস্তুরী গ্রন্থির ওজন হয় প্রায় ৬০-৬৫ গ্রাম বা তার থেকে কম বেশি। ওজন হয়ে থাকে।

এটি বিশেষ ধরনের প্রাণিজ সুগন্ধি। হরিণের নাভি থেকে পাওয়া যায় এই কস্তুরী, যা মহামূল্যবান সুগন্ধি হিসেবে সারা পৃথিবী জুড়ে পরিচিত। এবং প্রমাণিত।

আর এই কস্তুরীনামাঃ সুগন্ধি বহু গুণসম্পন্ন এবং বহু নামসম্পন্ন। এর ঘ্রাণ প্রকৃত যোজনগন্ধা বললে কম বলা হয়। কথিত আছে কস্তুরীর এক তিল পরিমাণ কোন বাড়িতে ফেললে বহু বছর সেখানে এর ঘ্রাণ থাকে। চার হাজার ভাগ নির্গন্ধ পদার্থের সঙ্গে এই মহামূল্যবান কস্তুরীর এর এক ভাগ মেশালে সমস্ত পদার্থই সুবাসিত হয় এই মহামূল্যবান কস্তুরীর ঘ্রাণে।

কস্তুরী সংগ্রহকারীরা এই মহামূল্যবান কস্তুরী এই সুগন্ধিকে কস্তুরী প্রায় প্রকৃত অবস্থায় রাখেন না। সচরাচর অন্য ধাতু উপ ধাতু পদার্থের সঙ্গে মিশিয়ে তা বিভিন্ন কেমিক্যাল দোকানে বিক্রি করেন। অন্য পদার্থের মধ্যে রক্ত বিশেষ একটি উপাদান। শুকিয়ে যাওয়া রক্তের সঙ্গে কস্তুরীর বিশেষ সাদৃশ্য আছে। আর এই মহা মূল্যবান কস্তুরীর সুবাসেও আছে বৈচিত্র্য এবং এটি ভিন্ন ভিন্ন নামেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে

সুগন্ধি ফুলের মতোই যুগ যুগ ধরে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষন কেড়েছে এই মহা মূল্যবান কস্তুরী মৃগ। এই মৃগ অর্থাৎ হরিণ এক প্রজাতির পুরুষ হরিণ। ইংরেজি নাম ‘মাস্ক ডিয়ার’। এরা খুব লাজুক স্বভাবের। তাই নিরিবিলি বাস করে। বিচরণ করে একান্ত নিরালয় নির্জনে।

এশিয়ার হিমালয় পর্বতমালার উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে উৎকৃষ্ট মহা মূল্যবান কস্তুরীমৃগ পাওয়া যায়। এশিয়ার হিমালয় পর্বতমালার ওই অঞ্চলে একপ্রকার ছোট আকারের হরিণ আছে, তারা ছাগলের চেয়ে বড় নয় কিন্তু দেখতে অত্যন্ত সুন্দর। এদের পা অতি সরু, মাথা সুন্দর এবং চোখ চমৎকার উজ্জ্বল। এই হরিণ অন্য হরিণ থেকে আলাদা নয়। অত্যন্ত শীতল পার্বত্য পরিবেশে বাস করায় এদের লোম সরু না হয়ে অত্যন্ত মোটা ও পালকের মতো হয়। এ ছাড়া পামির মালভূমির গ্রন্থি পর্বতমালায় তৃণভূমি সমৃদ্ধ উপত্যকায় এই হরিণ পাওয়া যায়।

এই নিবন্ধটিতে কোনো উৎস বা তথ্যসূত্র উদ্ধৃত করা হয়নি। আর এই মহা মূল্যবান

কস্তুরী মূলত মায়াবী সৌন্দর্যময় পুরুষ হরিণের পেটে অবস্থিত সুগন্ধী গ্রন্থি নিঃসৃত সুগন্ধীর নাম। মিলন ঋতুতে পুরুষ হরিণের পেটের কাছের কস্তুরী গ্রন্থি থেকে সুগন্ধ বের হয়, যা মেয়ে হরিণকে আকৃিষ্ট করে। ঋতুর শেষে তা হরিণের দেহ থেকে খসে পরে যায় এই মহামূল্যবান কস্তুরী ৷ সেটা সংগ্রহ করে রোদ শুকিয়ে কস্তুরী তৈরি করা হয় ৷

কস্তুরী খুব দামী সুগন্ধি, যা মোঘলরা এটি ব্যবহার করতে বলে জানা যায় ৷ বিভিন্ন তথ্য সূত্রে।

হরিণের নাভিতে সুগন্ধি

সুগন্ধির প্রধান উৎস হচ্ছে প্রকৃতি। উদ্ভিদ ও এর লতাপাতা, ফুল, ফল, মূল, কাণ্ড থেকে যেমন সুগন্ধি সংশ্লেষিত হয়, তেমনই অনেক প্রাণী থেকেও বিভিন্ন রকমের সুগন্ধি পাওয়া যায় । সুগন্ধি দ্রব্যের মধ্যে কস্তুরী বহুকাল থেকেই প্রসিদ্ধ। প্রাচীন ভারতীয় সভ্য সমাজে এই সুগন্ধিকে আদর করে বলা হতো ‘ললিতা’। কবি-সাহিত্যিকরা এর সৌরভে সব সময়ই মুগ্ধ এবং এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকেন। ভারতীয় সাহিত্যে কস্তুরীর সুবাসের প্রয়োগ আদিকাল হতেই পাওয়া যায়। আর এটি

একটি বিশেষ ধরনের প্রাণিজ সুগন্ধি মহা মূল্যবান কস্তুরী। হরিণের নাভি থেকে পাওয়া যায় এই কস্তুরী, যা মহামূল্যবান সুগন্ধি হিসেবে সারা পৃথিবী জুড়ে পরিচিত।

যেমন- কস্তুরীকা, কস্তুরীকাণ্ডজ, মৃগনাভি, মৃগমদ, মৃগনাভিজ, মৃগনাভিজা, মৃগাণ্ডজা, মৃগ, মৃগী, নাভি, মদনী, বেধমুখ্যা, মার্জারী, সুভগা, বহুগন্ধদা, শ্যামা, কামান্ধা, মৃগাঙ্গজা, কুরঙ্গনাভী, শ্যামলা, মোদিনী, অন্ডজা, লাক্ষী, নাড়ী, মদ, দর্প, মদাহ্বা, মদার, গন্ধধূলী, গন্ধকোলিকা, যোজনগন্ধা, জনগন্ধিকা, গন্ধশেখর, বাতামোদ, মার্গ, ললিতা।

সুগন্ধি ফুলের মতোই যুগ যুগ ধরে মানুষের দৃষ্টি কেড়েছে কস্তুরী মৃগ। এই মৃগ অর্থাৎ হরিণ এক প্রজাতির পুরুষ হরিণ। ইংরেজি নাম ‘মাস্ক ডিয়ার’। এরা খুব লাজুক স্বভাবের। তাই নিরিবিলি বাস করে। বিচরণ করে একান্ত নির্জনে।

এ ছাড়া পামির মালভূমির গ্রন্থি পর্বতমালায় তৃণভূমি সমৃদ্ধ উপত্যকায় এই হরিণ পাওয়া যায়। আরো বলেছেন, শুধু প্রাণী নয়, কিছু কিছু গাছ আছে, যাদের থেকেও কস্তুরী তৈরি করা সম্ভব। আজকাল গবেষণাগারে এগুলো কৃত্রিমভাবে সংশ্লেষিত হচ্ছে। জার্মানি ও সুইডেনের বিজ্ঞানীরা ল্যাবরেটরিতে কৃত্রিম উপায়ে মাস্ক কোন নামে বিশেষ ধরনের কস্তুরী তৈরি করছেন।------





সরাসরি সম্প্রচার

সাম্প্রতিক আপডেটস

Back To Top