ঠান্ডা পানি পান করার ৩টি বিষয় সম্পর্কে আপনি কতটুকু অবগত?ঠাণ্ডা পানি পানের অভ্যাস ডেকে আনে অপূরণীয় ক্ষতি!

অসহ্য গরম বা কনকনে ঠাণ্ডা অথবা আবহাওয়া যাই থাকুক না কেন সারাদিন কাজ করার পর আপনি কি এক গ্লাস বরফ ঠাণ্ডা পানি পান করে আপনার তৃষ্ণা নিবারণ করেন? ঠিক আছে, আজকের আর্টিকেলটি তাহলে আপনার জন্যই। পুরো লেখা পড়ার আগে একটু ভেবে দেখবেন আপনি ঠিক কতটুকু ঠাণ্ডা পানি পান করছেন আর এটা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি খারাপ। অনেকেই বলেন যে সবসময় ঠান্ডা পানি পান করা উচিৎ নয় বরং ঠান্ডা পানির পরিবর্তে সবসময় হালকা গরম পানি পান করা উচিত। আসলেই কি গরম পানি ভালো নাকি ঠান্ডা, ঠিক কোনটা আপনার দেহের জন্য ভালো সেটা জানার জন্য চলুন দেখে নেই আজকের লেখায় আপনার জন্য কি কি থাকছে।ঠাণ্ডা পানি পানের অভ্যাস ডেকে আনে অপূরণীয় ক্ষতি!

গরম হোক আর শীতকাল হোক, ঠাণ্ডা পানি ছাড়া চলে না এমন মানুষের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। তবে সবসময় ঠাণ্ডা পানি খাওয়া কি শরীরের জন্য উপকারী? আসুন জেনে নেই ঠাণ্ডা পানি খাওয়ার কুফল। ঠান্ডা পানি পান করার ৩টি বিষয়

১. ঠান্ডা পানি আপনার জন্য খারাপ কেন?

অনেক স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট পরিমান পানি পান করার কথা বলেন কারণ এতে শরীর হাইড্রেটেড থাকে। তবে ঠান্ডা পানির ক্ষেত্রে এমনটা কিন্তু নাও হতে পারে। ঠাণ্ডা পানি সম্পর্কে অনেকেই মত পোষণ করেন যে এটা উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি করতে পারে। এই বিশ্বাসটা এই ধারনা থেকে এসেছে যে ঠাণ্ডা পানি পান করার ফলে আপনার পাকস্থলী সংকুচিত হয়ে যায়, যার ফলে খাবার খাওয়ার পরে খাবার হজম করতে কিছুটা সমস্যা হয়। কিছু মানুষ এটাও বিশ্বাস করেন যে, আপনি যদি ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর কম তাপমাত্রার পানি পান করেন তাহলে আপনার শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা ঠিক রাখতে অর্থাৎ ৩৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড রাখতে আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। এই কথাগুলি কি সত্যি? আচ্ছা, ধরে নিলাম এটা আংশিকভাবে সত্যি। ১৯৭৮ সালের একটি ছোট গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছিল, সেখানে বলা আছে যে শীতল পানি পান নাসাল কর্ডে শ্লেষ্মা ঘন করতে সাহায্য করে এবং এর মধ্য দিয়ে শ্বাস চলাচল করা কঠিন করে তোলে। সেখানে এটাও বলা ছিলো, গরম পানি পান বা মুরগির স্যুপ জাতীয় গরম পানীয় পান শ্বাস-প্রশ্বাসকে আরও সহজ করে তোলে। আর যাদের ফ্লু বা এলার্জি জাতীয় সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ঠাণ্ডা পানি পান করাকে ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

২০০১ সালে পরিচালিত আরেকটি গবেষণায়, ঠাণ্ডা পানি পান করার সাথে মাইগ্রেন এর যোগসূত্রকে বোঝানো হয়েছে, ইতিমধ্যে যাদের মাইগ্রেন এর অভিজ্ঞতা রয়েছে তারা হয়তো এই বিষয়ে ভালো জেনে থাকবেন। এখানে অ্যাকালাসিয়া (Achalasia) নামে আরেকটি কন্ডিশনের কথা বলা হয়। অ্যাকালাসিয়া হলো এমন একটি ব্যথাযুক্ত কন্ডিশন যা খাবার খাওয়ার সময় ঠাণ্ডা পানি পান করলে হতে পারে। এক্ষেত্রে খাবার খাওয়ার সময় ঠাণ্ডা পানি পান করলে খাবার খাদ্যনালীর মধ্যে দিয়ে যেতে কষ্টসাধ্য করে তোলে। এছাড়াও চাইনিজ মেডিসিন অনুসারে, খাবার খাওয়ার সময় ঠাণ্ডা পানি পান করা হলে শরীরের মধ্যে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হয়। তাই চাইনিজ ও অন্যান্য বিভিন্ন দেশে খাবার পরিবেশন করার সময় হালকা গরম পানির সাথে পরিবেশন করা হয়ে থাকে। কোন কোন দেশে আরেকটি জনপ্রিয় বিশ্বাস রয়েছে যে, গরমে ঠান্ডা পানি আসলে আপনার শরীরকে ঠান্ডা করে তোলে না, এটি শুধু একটি ধারনামাত্র। তবে এই বিশ্বাসের পক্ষে বা বিপক্ষে কোন সায়েন্টিফিক প্রমাণ নেই।

২) ঠাণ্ডা পানি পান করার উপকারিতা

এক্সারসাইজ করার সময় বা যেকোনো কঠোর পরিশ্রম করার সময় ঠান্ডা পানি পান করলে তা আপনার শরীরের অত্যাধিক গরম প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। অনুশীলনের সময় ঠান্ডা পানির ব্যবহার আপনার শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে থাকে।

ঠান্ডা পানীয় জলের আরও একটি সুবিধা হচ্ছে সাধারণত এটির তাপমাত্রা নির্বিশেষে এটি আপনার শরীরে আরও শক্তি সরবরাহ করতে পারে। পানি খাওয়া হজমের পক্ষেও ভালো এবং পানি তুলনামূলকভাবে আপনাকে স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে সহায়তা করে। এটি আপনার দেহের অতিরিক্ত ফ্যাট ও ক্যালোরি পোড়াতেও সহায়তা করে থাকে, যখন আপনি অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন তারপর ঠান্ডা পানি পান করেন।

তবে, আপনি যদি মনে করেন যে কেবল বেশি পান করলেই লাফিয়ে আপনার ওজন কমে যাবে তাহলে ভুল ভাবছেন। তবে বেশি পানি পান করা আপনার ওজন কমানোর অন্যান্য প্রোগ্রামগুলোতে সাহায্য করবে।

তাহলে শেষ পর্যন্ত কি ভাবলেন? আপনার কেমন পানি পান করা উচিত? ঠান্ডা নাকি গরম? চূড়ান্ত রায় দেয়ার আগে চলুন গরম বা উষ্ণ পানি পানের কোন উপকারিতা বা অপকার রয়েছে কিনা সেগুলো দেখে নেই-

৩) উষ্ণ বা গরম পানি কি ঠান্ডা পানির চেয়ে ভালো? হালকা গরম পানি পান করার পক্ষে কিছু পসিটিভ যুক্তি রয়েছে যেমন- গরম পানি হজমে সহায়তা করতে পারে, রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত করতে পারে এবং আপনার দেহের বিষাক্ত পদার্থগুলো অপসারণ করতে দ্রুত সহায়তা করতে পারে। তবে, গরম পানি পান করার ফলে আপনি তৃষ্ণার্ত কম হতে পারেন যা গরমের দিনে বিপজ্জনক হতে পারে কারণ তখন শরীরের পানি অনেকাংশে ঘাম হিসেবে বেরিয়ে যায়।

উপরিউক্ত সমস্ত তথ্য উপলব্ধি করে আমরা একটি উপসংহারে পৌঁছাতে পারি যে ঠান্ডা পানি আমাদের অনুশীলনের সময় শক্তি সরবরাহ করে কিন্তু শীতকালে বা আপনার যদি ফ্লু থাকে তাহলে কোনভাবেই আপনার ঠান্ডা পানি পান করা উচিত নয়। ঠান্ডা পানি হজমশক্তি হ্রাসের সঙ্গেও যুক্ত।

যাই হোক, কঠোর পরিশ্রমের পরে বা ক্লান্তিকর দিনের পরে আপনি কয়েক চুমুক ঠান্ডা পানি পান করতে পারেন তবে সেটা সল্প পরিমাণে। তবে আপনি যদি ভারী খাবার খেয়ে থাকেন তাহলে হালকা গরম পানি আপনাকে সস্তি দিবে। আশা করি, এই পোস্টটি আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করেছে যে আপনার জন্য কেমন পানি গ্রহণ করা ভালো। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।হার্ট এর সমস্যাঃ ঠান্ডা পানি পানের কারণে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয় হার্টের। গরম থেকে এসেই ঠান্ডা পানি পান করলে শরীরের শিরা উপশিরা সঙ্কুচিত হয়ে যায়। ফলে স্বাভাবিক রক্ত সঞ্চালন করতে হার্টের উপর বাড়তি চাপ পড়ে। এই বাড়তি চাপ হার্টের জন্য একেবারেই ভালো না। সাথে সাথেই কোনো সমস্যা দেখা না দিলেও, দীর্ঘমেয়াদে জটিল হৃদরোগ দেখা দিতে পারে। জ্বর হওয়ার ক্ষেত্র প্রস্তুত করে: আমাদের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট। কিন্তু ঠান্ডা পানি পান করলে আমাদের রক্ত হঠাৎ করেই শীতল হয়ে যায়। ফলে শরীরে ভেতরের অংশে হঠাৎ করেই অনাহুত অস্বস্তি দেখা দেয়। এধরনের অস্বস্তি জ্বরের ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দেয়।

শরীরে পর্যাপ্ত পানির চাহিদা পূরণ হয় না: ঠাণ্ডা পানিতে ত্ষ্ণা মেটে চট করে, তৃপ্তি চলে আসে তাড়াতাড়ি। ফলে শরীর মনে করে তার আর পানি পানের প্রয়োজন নেই।ফলে শরীরের প্রয়োজনীয় পানির চাহিদা মেটে না। এ ঘাটতি থেকে পানিশূন্যতা তৈরি হয় যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

টনসিলের সমস্যা হতে পারেঃ ঠান্ডা পানিতে সহজে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা থাকে ফলে টনসিল ফুলে গিয়ে সমস্যা হতে পারে। খনিজের অনুপস্থিতিঃ সাধারণ পানি স্বাভাবিক অবস্থায় বিভিন্ন ধরনের খনিজ উপাদানে পূর্ণ থাকে। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারি। কিন্তু পানি ঠান্ডা হয়ে গেলে এসব খনিজ উপাদানের কার্যকারিতা কমে যায়। তখন শরীরের জন্য এরা আর কোনো কাজ করতে পারে না। ফলে পানি থেকে শরীরের যে খনিজের চাহিদা পূরণ হয় সেটা অপূর্ণই থেকে যায়। ঠান্ডা পানিতে হজমের সমস্যা হয়ঃ ঠান্ডা পানি পান করার ফলে পাকস্থলী খাবার হজমের চাইতে ঠান্ডা পানিকে শরীরের তাপমাত্রায় নিয়ে আসতে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ফলে পাকস্থলীর যে মূল দায়িত্ব সেই খাবার হজমের প্রক্রিয়ায় ছেদ পড়ে, হজমে সমস্যা দেখা দেয়।

শরীরের শক্তি ক্ষয় করেঃ আমাদের শরীরের তাপমাত্রা যেহেতু স্বাভাবিক মাত্রায় ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট। তাই ঠান্ডা পানি যখন পাকস্থলীতে জমা হয় তখন পাকস্থলী তা শরীরের তাপমাত্রায় নিয়ে আসে।ফলে শরীরের অহেতুক শক্তি খরচ হয়। ব্যায়ামের পরে ঠান্ডা পানি ক্ষতিকরঃ ব্যায়ামের পরে কক্ষতাপমাত্রা বা তার চেয়ে গরম পানি খাওয়া ভাল। কারণ ঠান্ডা পানি খেলে তা শরীরে দ্রুত শোষিত হয়। ফলে শরীরে পানির চাহিদা পূরণ হয় না। দাঁতের ক্ষতি হয়: ঠান্ডা পানি দাঁতের এনামেলের ক্ষতি করে মারাত্মক ভাবে।গরম থেকে ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে আসা মাত্রই দাঁতের বহিরাবরণ সংকুচিত হয়। ফলে এনামেলে ফাটল ধরে। এছাড়া মাড়ি ক্ষয়ের অন্যতম একটি কারণও ঠান্ডা পানি।

গর্ভপাতের সম্ভাবনাঃ গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করলে গর্ভপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ঠান্ডা পানি পান করার ফলে জরায়ুর সঙ্কোচন হয়। গর্ভাবস্থায় এধরনের সঙ্কোচন গর্ভপাতের ঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।কলিকাতা হারবাল হাকিম ডা:মো: মাহাবুবুর রহমান!(রেজিষ্টার্ড হারবাল স্পেশালিস্ট যৌন. ডায়াবেটিস, চর্ম,সাস্থ্যহীনতা.মেদভুড়ি. হাঁপানি,বাত বেথা.হেপাটাইটিস (বি -ভাইরাস).অশ্ব গেজ.ও মহিলা রোগে (17 বৎসরের অভিঙ্গতা)কলিকাতা হারবাল মোঃ

 

 





সরাসরি সম্প্রচার

সাম্প্রতিক আপডেটস

Back To Top